‘ অটোরিকশার পর্দা ছিড়ে ফেলে ট্রাফিক পুলিশ বলল, ‘পিটাইয়া গাড়ি ভাঙা উচিত’ মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী: রাজশাহীতে অটোরিকশা চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন মো. আরেফিন নামে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য। এ সময় তিনি অটোরিকশার পেছনের অংশে লাগানো পর্দা কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। ঘটনাটি কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের পেশাগত কাজেও বাধা দেওয়া হয়। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশা চালকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের এই আচরণ যথেষ্ট অমানবিক ও অযৌক্তিক ছিল। গাড়ি থেকে নেমে ক্ষতির কথা জানাতে গেলে ওই ট্রাফিক সদস্য আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অটোরিকশার চাবি নিয়ে সার্জেন্ট মো. শান্তের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক মো. শফিকুল, যার বাড়ি নগরীর বিমান চত্বর এলাকায়, বলেন— আমি রেললাইন থেকে গাড়িটা সাইড করছিলাম। ঠিক তখনই তিনি এসে গাড়ির পেছনের অংশের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এই ক্ষতিটা না করলেও পারতেন। আমি এখন মালিককে কি ভাবে বুঝ দিবো । ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক নিজের পরিচয় দিয়ে ট্রাফিক সদস্য আরেফিনের কাছে জানতে চাইলে পাশে থাকা আরেক ট্রাফিক সদস্য আনোয়ার ওই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসেন এবং পেশাগত কাজে বাধা দেন। পরে তাকে ট্রাফিক বক্সে অবস্থানরত সার্জেন্ট শান্তর কাছে যেতে বলা হয়। সার্জেন্ট শান্ত সাংবাদিকের পরিচয়পত্র দেখে সেটির ছবি তোলার চেষ্টা করেন এবং সাংবাদিকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন— কী নিউজ হবে, কোনটা পাবলিশ করার মতো! এখন তো হলো ভাই, ছোট একটা শব্দ হলেও আপনারা বলেন—বোমাবাজি হইছে। আপনাদের সাংবাদিকতা এখন এইটাই। রিকশা–অটোর চলাচল নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বলতে গিয়ে সার্জেন্ট শান্ত আরও বলেন— রিকশা-অটোর কারণে আমাদের ডিউটি বেশি হয়। কত ভালো করে বলা হয় রাস্তা ফাঁকা রাখতে—তবুও শোনে না। এদের পিটাইয়া গাড়ি ভাঙা উচিত। কাজ করতে করতে ইনসিডেন্ট হইয়া যায়। হাত লাগলে ছিঁড়াইয়া যাইতেই পারে। এ বিষয়ে জানতে আরএমপি ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নুর আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজশাহীতে অটোরিকশা চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন মো. আরেফিন নামে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য। এ সময় তিনি অটোরিকশার পেছনের অংশে লাগানো পর্দা কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। ঘটনাটি কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের পেশাগত কাজেও বাধা দেওয়া হয়। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশা চালকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের এই আচরণ যথেষ্ট অমানবিক ও অযৌক্তিক ছিল। গাড়ি থেকে নেমে ক্ষতির কথা জানাতে গেলে ওই ট্রাফিক সদস্য আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অটোরিকশার চাবি নিয়ে সার্জেন্ট মো. শান্তের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক মো. শফিকুল, যার বাড়ি নগরীর বিমান চত্বর এলাকায়, বলেন— আমি রেললাইন থেকে গাড়িটা সাইড করছিলাম। ঠিক তখনই তিনি এসে গাড়ির পেছনের অংশের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এই ক্ষতিটা না করলেও পারতেন। আমি এখন মালিককে কি ভাবে বুঝ দিবো ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক সাংবাদিক নিজের পরিচয় দিয়ে ট্রাফিক সদস্য আরেফিনের কাছে জানতে চাইলে পাশে থাকা আরেক ট্রাফিক সদস্য আনোয়ার ওই সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসেন এবং পেশাগত কাজে বাধা দেন। পরে তাকে ট্রাফিক বক্সে অবস্থানরত সার্জেন্ট শান্তর কাছে যেতে বলা হয়।
সার্জেন্ট শান্ত সাংবাদিকের পরিচয়পত্র দেখে সেটির ছবি তোলার চেষ্টা করেন এবং সাংবাদিকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন— কী নিউজ হবে, কোনটা পাবলিশ করার মতো! এখন তো হলো ভাই, ছোট একটা শব্দ হলেও আপনারা বলেন—বোমাবাজি হইছে। আপনাদের সাংবাদিকতা এখন এইটাই।
রিকশা–অটোর চলাচল নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বলতে গিয়ে সার্জেন্ট শান্ত আরও বলেন— রিকশা-অটোর কারণে আমাদের ডিউটি বেশি হয়। কত ভালো করে বলা হয় রাস্তা ফাঁকা রাখতে—তবুও শোনে না। এদের পিটাইয়া গাড়ি ভাঙা উচিত। কাজ করতে করতে ইনসিডেন্ট হইয়া যায়। হাত লাগলে ছিঁড়াইয়া যাইতেই পারে।
এ বিষয়ে জানতে আরএমপি ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নুর আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।